ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছে যে তারা মঙ্গলবার ভোরে রাশিয়ার ৩৫টি বিস্ফোরক ড্রোনের মধ্যে ৩২টি গুলি করে ভূপাতিত করেছে, যার বেশিরভাগই কিয়েভ অঞ্চলে।
২ এপ্রিল রাতে ক্রেমলিনে পর পর দুটি হামলা করা হয়। এই দুটি হামলার মাধ্যমে ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রশাসন রুশ প্রেসিডেন্টকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল বলে অভিযোগ রাশিয়া সরকারের।
ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রবিবার সকালে পূর্ব ইউক্রেনে চিনে তৈরি একটি আধুনিক ও অস্ত্রসমৃদ্ধ মুগিন-৫ ড্রোন ধ্বংস করেছে। ইউক্রেনের সেনা জওয়ানরা AK-47 রাইফেল দিয়ে গুলি চালিয়ে যুদ্ধ এলাকায় উড়তে দেখা এই সন্দেহজনক ড্রোনটি ধ্বংস করে।
চিনের সাংহাই থেকে এরকমই একটি ড্রোন উড়েছে। এরপর সেটি পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশে পৌঁছায়। জানা গিয়েছে এই ড্রোন পাকিস্তানে এর আগে ২৮ বার উড়ান নিয়েছে। এরপর ওই ড্রোনটি ভারতের সীমা পেরিয়ে ঢুকতে শুরু করলে বিএসএফ সেটিকে গুলি করে ভূপতিত করে।
এই বছর থাকছে আরও একাধিক চমক। প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে খবর, এই প্রথম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নেবে সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার প্রচন্ড।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষীরা জানিয়েছেন, পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এই ড্রোনগুলি পাঠিয়ে ভারতে অস্ত্র এবং মাদক পাচার করে থাকে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে ঘন কুয়াশার মধ্যে সীমান্ত গ্রামের বারেকার মাঠে হেরোইনের প্যাকেট ফেলে পাকিস্তান থেকে আসা ড্রোনটি ফিরছিল। সীমান্তে টহলরত বিএসএফ জওয়ানরা ড্রোনের শব্দ শুনে ছয়টি গুলি চালায়।
প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিবৃতি দিয়ে জানান, ইরানের তৈরি ১৩টি কামিকাজে ড্রোনকে গুলি করে নামিয়ে এনেছে ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা বাহিনী।
ভারতীয় বায়ুসেনা ১৫ এবং ১৬ ডিসেম্বর দেশের পূর্ব সেক্টরে একটি গুরুত্বপূর্ণ সামরিক মহড়া চালাতে চলেছে। যুদ্ধ মহড়ায় ভারতের যুদ্ধবিমান, পরিবহন বিমান, হেলিকপ্টার ও ড্রোন ওড়ানো হবে।
নৌবাহিনী দিবসের একদিন আগে বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে নৌবাহিনী প্রধান বলেন, ভারত মহাসাগরে চিনের ওপর নজরদারির জন্য এই কেনার প্রস্তাব করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তিনটি শাখায় ১০টি ড্রোন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তিনি বলেছিলেন।