আজ দূর্গা ষষ্ঠী। নবরাত্রী বা এই ষষ্ঠীর দিনে দেবীকে মা কাত্যায়নী রূপে পুজো করা হয়েছ। মা দুর্গার এই ষষ্ঠ রূপ অত্যন্ত করুণাময়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে মা দুর্গা তার ভক্তদের তপস্যা সফল করতে এই রূপ ধারণ করেছিলেন। কিংবদন্তি অনুসারে, দেবী দুর্গা মহর্ষি কাত্যায়নের তপস্যায় সন্তুষ্ট হয়ে তাঁর ঘরে কন্যা রূপে জন্মগ্রহণ করেন।
অতীতের বারাণসী ঘোষ স্ট্রিট নাম বদলে এখন হয়েছে বিবেকানন্দ রোড। গণেশ টকিজের মোড়ের অদূরে যে বাড়িটি স্থাপত্য বৈচিত্রে সকলের নজর কাড়ে, কলকাতার বনেদি বাড়ির পুজোর তালিকায় এই বাড়ি দাঁ বাড়ি নামে পরিচিত। স্থানীয় লোকের মুখে মুখে এ বাড়ির নাম ‘বন্দুকওয়ালা’ বাড়ি।
সন্ধি পুজোর সময়েই দেবী মহামায়া মৃন্ময়ী মূর্তি থেকে চিন্ময়ী রূপে আসেন ও ভক্তের পূজা গ্রহণ করেন। ১০৮ প্রদীপ জ্বেলে প্রার্থনা করতে হয় যাতে দেবী সংসারের সব আঁধার মোচন করেন। দেবী যেন জ্ঞানের আলো জ্বেলে দেন।
নবরাত্রির প্রথম দিনে মা শৈলপুত্রীর আরাধনা করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে মাতা শৈলপুত্রী হলুদ রং খুব পছন্দ করেন। তাই এই দিনে হলুদ বস্ত্র পরিধান করে মায়ের পূজা করলে মা শৈলপুত্রী প্রসন্ন হন।
মাতৃপক্ষে যে কোনও দেব দেবীর পুজো করার সময় এই পাঁচটি জিনিস মাথায় রাখুন। এই কয়টি নিয়ম মেনে পুজো করলে দেবীর কৃপা মিলবে। জীবনের সকল দুর্ভোগ কেটে যাবে। সকল জটিলতা থেকে মিলবে মুক্তি। তেমনই জীবনের কঠিন সময়ের অবসান ঘটবে। এই কদিন মেনে চলুন এই বিশেষ নিয়ম।
সংস্কৃতে দুর্গা শব্দের অর্থ ‘একটি দুর্গ’ বা ‘এমন একটি স্থান যা অতিক্রম করা কঠিন’। কখনও দেবী দুর্গাকে দুর্গতিনাশিনী হিসেবে উল্লেখ করা হয়। যার আক্ষরিক অর্থ হল যিনি দুঃখ দূর করেন।
নবরাত্রিতে মাকে প্রতিষ্ঠার পর দেবীর ভক্তিতে মগ্ন হয়ে উৎসব পালন করা হয়। সনাতন ধর্মে গৃহস্থদের জন্য বছরের চারটি নবরাত্রের মধ্যে চৈত্রিয় ও শারদীয়া নবরাত্রির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। এবার নবরাত্রিতে একটি বিশেষ যোগ তৈরি হচ্ছে। আসুন জেনে নেই দেবী দুর্গার অষ্টত্তরো শতনাম।
আপনি কি জানেন যে দুর্গাপুজায় আমরা মা দুর্গার আরাধনা করি এবং কীভাবে দেবীর জন্ম হয়েছিল তার সঙ্গে সম্পর্কিত বিশ্বাসগুলি কী?
বাংলার বনেদি বাড়ির পুজোর মধ্যে অন্যতম এই পুজো। ১০৪-এর ঐতিহ্যময় এই পুজোয় দেখা মেলে যাবতীয় সাবেকি রীতির। শুধু তাই নয় এখানে দেবীর রূপও অভিনব। দশভূজা, শক্তিরূপেন নয়, হাওড়া মাকড়দহ শ্রীমানী বাড়িতে দেবী পূজিত হন হরগৌরী রূপে।
গভীর রাতে মহিষাসুরকে বধ করে দেবী দুর্গা দেবতা ও সমগ্র সৃষ্টিকে তার ত্রাস থেকে মুক্ত করেছিলেন। মা দুর্গার অস্ত্র পরিধানের উদ্দেশ্য হল অসুরদের বিনাশ করা এবং ভক্তদের রক্ষা করা। চলুন জেনে নেই মা দুর্গার নানান অস্ত্রের রহস্য।