গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ দখলে তৃণমূল কংগ্রেস যেমন এগিয়ে রয়েছে তেমনই ভোট হিংসায় সব থেকে বেশি প্রাণ গেছে তৃণমূলের সমর্থকদের।
ভোটের দিন থেকেই শুরু হয়েছে ব্যালটের অবমাননা। কোথায় জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল ব্যালট বাক্স। কোথাও আবার ফেলে দেওয়া হয়েছিল। আর গণনার দিন তো সব কিছু চাড়িয়ে গেল।
ভূমিপুত্রের গড় এখন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের কংগ্রেসের কাছে এক দুর্ভেদ্য চক্রব্যুহ। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সেই ব্যুহের অন্দরে পদ্মফুলের ভিড়ে ঘাসফুল ফোটে কিনা, সেই দিকেই নজর রেখেছে সারা বাংলা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই গণনা শুরু হয়েছে। তবে অশান্তিছবি এখনও অব্যাহত। গণনাকেন্দ্র থেকে শুরু করে অন্যত্র হিংসার ঘটনা ঘটছে। আক্রান্তের তালিকায় বিরোধীরা।
মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হয়েছে। তবে তার আগেই বড় সাফল্য ঘাসফুল শিবিরে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ের ধারা অব্যাহত।
উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় ত্রিস্তীয় পঞ্চায়েত ভোটের গণনার সঙ্গে দার্জিলিং ও কালিম্পংএর দ্বিস্তরীয় পঞ্চায়েতের ভোট গণনা মঙ্গলবার। অশান্তি রুখতে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে উঠেছিল অধীর চৌধুরীর মামলা। অধীর নিজেই সওয়াল করেন। ক্ষতিপুরণ, পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে মামলা করেন তিনি।
রাজ্য রাজনীতিতে যেকয়েকটি উত্তপ্ত এলাকার নাম রয়েছে তারমধ্যে বর্তমানে ভাঙড় সবথেকে বেশি উত্তেজনা প্রবণ। বাম জমানার শেষ পর্ব থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে ভাঙড়ের নাম গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম দাবি করেছিল, দিল্লিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন রাজ্যপাল। তাঁকে রাজ্যের ‘নির্বাচনী হিংসা’র বিষয়ে জানাতে পারেন। সোমবার সন্ধ্যায় সম্ভবত সেই কাজটাই করতে চলেছেন তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী তথা বিজেপির দাবি যে সকল বুথে সিসিটিভি ক্যামেরা ছিল না বা থাকলেও ত্রুটিপূর্ণ ছিল সেই সব বুথে আবার নির্বাচন করতে হবে।