রাজ্যজুড়ে অশান্তি, মারধার, ব্যালট বাক্স ছিনতাই, খুন, ছাপ্পার পরিস্থিতিতে একাধিক কেন্দ্রে নতুন করে নির্বাচন ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই প্রসঙ্গে সোমবার মুখ খুললে দিলীপ ঘোষ।
সোমবার সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সম্পূর্ণভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর নজরদারিতে ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া চলবে।
পঞ্চায়েত ভোট দেখতে শনিবার সকালে রাজভবন থেকে বেরিয়ে ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। সন্ধ্যায় রাজভবনে ফিরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রাজনৈতিক হিংসার সমালোচনা করলেন।
মুর্শিদাবাদের জায়গায় জায়গায় দেখা গিয়েছে সংঘর্ষের ঘটনা। যার জেরে ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে বাড়ানো হয়েছে শয্যার সংখ্যা।
মূলত ভোট কেন্দ্রে বহিরাগতরা ভোট বানচালের চেষ্টা করছে দেখে বাধা দিতে গেলে তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয় বলে জানিয়েছেন এসএফআই নেত্রী। ঘটনায় আহত হয়েছেন দীপ্সিতা ধর।
প্রসাদ আরও বলেন আগে বিহার, বা অন্য কোনও রাজ্যে ভোটে এরকম হত্যালীলা চলত। এখন সেসব অনেক পরিমাণে কম। তাহলে বাংলা এমন রূপ কেন দেখাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের আমলে ভোট লুঠ হল বলা চলে।
পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের বিষয় কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপে তদন্তের আর্জি জানালেন তিনি। এই মর্মে শনিবারই অমিত শাহকে চিঠি দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
আমি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসা করতে চাই আপনি কী ধরনের গণতন্ত্র চান? আজ আপনার হাতেও রক্ত লাগল। বললেন অধীর চৌধুরী।
পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে মুখ খুলবেন রাজীব সিনহা। বলেন ভোট শান্তিপুর্ণ তা এখন বলা সম্ভব নয়। ৬০০ র বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণার পর থেকে যে সন্ত্রাস শুরু হয়েছিল তা অব্যাহত রইল ভোটের দিনও। শুক্রবার রাত থেকে এপর্যন্ত পঞ্চায়েত ভোটে মৃত্যু হল ১১ জনের।