ফণী-র পা ওড়িশ্যার বুকে পরা মাত্রই সতর্কতা জারি রাজ্য জুড়ে। তরিঘরি রদ বদল মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচীতেও।
ইতিমধ্যে ওড়িশা, পুরী, কেন্দ্রাপাড়া, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, কটক প্রভৃতি অঞ্চল থেকে প্রায় দশ লক্ষ মানুষকে সরানো হয়েছে।
২০০৯ সালের আয়লার ত্রাস এখনও স্মৃতি থেকে মুছে যায়নি পশ্চিমবঙ্গবাসীর। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে তাই কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন।
আবহাওয়াবিদদের পূর্বাভাস অনুযায়ী বৃহস্পতিবার রাতেই ওড়িশার চাঁদবালি ও গোপালপুর দিয়ে তাব্র গতিতে বয়ে যাবে ঘূর্ণিঝড় ফণী। অল্পের জন্য সরাসরি এই পথে পড়ে না মন্দির-শহর ওড়িশা। তবে ফণীর জের পড়তে চলেছে উড়ান-কার্যক্রমেও। ভূবনেশ্বর ও কলকাতার বাতিল করা হচ্ছে অজস্র উড়ান। যাবতীয় কার্যক্রমই বন্ধ রাখা হচ্ছে। সতর্কতা জারি করা হয়েছে দেশের অন্যান্য বেশ কয়েকটি বিমান বন্দরেও।
আয়লার মতোই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারে ঘূর্ণিঝড় ফণী। ধীরে ধীরে বঙ্গোপসাগর ধরে এই ঘূর্ণাবর্ত এগিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গের দিকে। এই রাজ্যে ৩-৪ মে তারিখে ঘূর্ণিঝড় ফণীর সবচেয়ে বেশি প্রভাব দেখা যাবে। দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বৃশষ্টি হতে পারে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতেও।
বৈশাখের দাবদাহের মধ্যে কয়েক পশলা বৃষ্টির কামনা করছিলেন সবাইই। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে এবার রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত ও তীব্র ঝোড়ো হাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। যার জেরে দিঘা ও মন্দারমণির সমুদ্র উপকূলে জারি করা হল সতর্ক বার্তা।