'চব্বিশ সালেই বিধানসভা নির্বাচন হবে' বলে মমতার সরকারকে ইতিমধ্যেই নিশানা শুভেন্দুর। মূলত চব্বিশেই লোকসভা এবং বিধানসভা নির্বাচন করানোর লক্ষ্যে বিজেপি।তবে সংবিধান ও আইনের জটিলতার জন্য সেই সাধ এখনও অপূর্ণই রয়ে গিয়েছে গেরুয়া শিবিরে।
বাবুল সুপ্রিয়-র শপথের অনুমতি দেওয়া নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের প্রশ্ন অমূলক। বিধানসভার সচিবালয় থেকে এদিন বৃহস্পতিবার রাজভবনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে।
রাজ্যপাল নিজে নতুন বিধাকয়কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন নয়তো অন্য কাউকে এই দায়িত্ব দেবেন। নির্বাচনে জিতে আসার পরে বিধায়ককে দ্রুত শপথ বাক্য পাঠ করানো জরুরি কারণ তা নাহলে এলাকায় উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে যাবে।
'এটা পরিকল্পিত ভাবে বিজেপি করেছে', রামপুরহাট বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর বিধানসভা ইস্যুতে বিস্ফোরক তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। সিবিআই তদন্তের কথা বলতে গিয়ে টানলেন গুজরাট, হাথরাস, লখিমপুর প্রসঙ্গ।
বিধানসভার ঘটনা নিয়ে রাজভবনে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের কাছে নালিশ জানাতে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন সাসপেন্ড হওয়া বিধায়করাও। অন্যদিকে হাসপাতালে আহত বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত মজুমদার।
সোমবার সংসদে পশ্চিমবঙ্গে আইনশৃঙ্খলা নেই বলে অভিযোগ তুলে রাজ্যে ৩৫৫ ধরা জারি করার আবেদন জানান সৌমিত্র খান। তিনি বলেন দেশের কোনও রাজ্যে বিধানসভার অন্দরে বিরোধীদের ওপর আক্রমণ হয় না। একমাত্র রাজ্য পশ্চিমবঙ্গ - সেখানে বিধানসভার অন্দরে বিরোধীদের ওপর হামলা চালান হয়েছে।
বিধানসভার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির জন্য দায়ি বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ মমতার। এই বিষয়ে তিনি কথা বলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে।
পঞ্জাব, উত্তরাখন্ড, মণিপুর, গোয়া ও উত্তরপ্রদেশের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আর সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে এদের সরিয়ে দেওয়ার বা সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশাপাশি ঘাসফুল শিবিরও নির্বাচনে আগে গোয়া নিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছিলেন। তিনি একাধিকবার এই রাজ্যে গিয়েছিলেন। জনসভাও করেছিলেন তিনি। একই সঙ্গে এই রাজ্যে বিশেষভাবে নজর দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত গেরুয়া ঝড়৷ চার রাজ্যেই গেরুয়া ঝড়ে দিশেহারা বিরোধীরা। এই আনন্দে সামিল সারা দেশের পাশাপাশি বাংলাও।