৪০ বছরের অপেক্ষার অবসান, আবার ফুটবল মাঠে বসে স্বাধীন ভাবে খেলা দেখতে চলেছেন ইরানের মহিলারা। বৃহস্পতিবার বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে খেলা ইরান ও কম্বোডিয়ার মধ্যে। সেই ম্যাচেই মহিলাদের জন্য আলাদা একটি স্ট্যান্ডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ৩৫০০ হাজার মহিলা ফুটবল ম্যাচ দেখার জন্য টিকিও বুক করেছেন। মহিলা দর্শকেদর নিরাপত্তার জন্য থাকছেন ১৫০ জন মহিলা পুলিশ কর্মীও। তাই বলাই যায় বৃহস্পতিবার ইরানের ফুটবলে এক নতুন যুগের সূচনা হতে চলেছে।
আরও পড়ুন - শুরু হচ্ছে আইএসএল, খাতায় কলমে বড় দল নিয়ে নামতে তৈরি এটিকে
মাঠে বসে ফুটবল দেখার জন্য ইরানের মহিলাদের অন্দোলন অনেক দিনের। কিন্তু বিগত এক মাসে এই আন্দোলন পৌছে গিয়েছিল অন্য মাত্রায়। ফুটবল মাঠে ঢুকতে গিয়ে হেনস্থার শিকার হয়েছিলেন এক তরুণী। গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছিলেন তিনি। ঘটনা ফিফার কানে যেতেই বিশ্ব ফুটবলেন নিয়ামক সংস্থা একটি বিশেষ দল পাঠায় ইরানে। সব দিক দেখার পর ফিফা পরিস্কার জানিয়ে দেয় মাঠে মহিলাদের ঢুকতে বাধা দিলে নির্বাসনের মুখেও পরতে হতে পারে ইরানকে। ইউরোপিয়ান ফুটবল সংস্থা উয়েফা নিজেদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল উয়েফার অন্তর্গত কোনও দল ইরানে ফুটবল খেলতে যাবে না। ঘরে বাইরে তুমুল চাপে পরে অবশেষে মহিলাদের মাঠে বসে খেলা দেখার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন - প্রথম মহিলা ক্রিকেটার হিসাবে রেকর্ড মিতালির, জয় ভারতীয় মহিলা দলের
নিজেদের অন্ধকার দিক ভুলে ইারানের ক্রীড়া মন্ত্রক জানিয়েছে ১ লক্ষ আসনের আজাদি স্টেডিয়াম আরও বেশ সংখ্যায় মহিলাদের মাঠে বসে খেলার দেখার বন্দোবস্ত করতে তৈরি। ইরানের মহিলা ফুটবল সাংবাদিক রাহা পূর্বক্সা বলছেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না এটা হতে চলেছে। পেশাগত জীবনে এতদিন টিভির পর্দায় ম্যাচ দেখে কাজ করতে হত, এবার মাঠে গিয়ে কাজ করতে পারব।’ ইরানি মহিলাদের এখন একটাই ভয়, মাঠে গিয়ে খেলার দেখার জন্য তাঁদের আবার কোনও হেনস্থার মুখে পরতে না হয়। তবে এতদিনে মাঠে বসে খেলার দেখার অনুমতি যখন পাওয়া গেছে, তখন সব ভালই হবে। এই আশা নিয়েই বৃহস্পতিবার আজাদি স্টেডিয়ামে বসে স্বাধীন হতে চাইছেন ইরানের মহিলারা।
আরও পড়ুন - পুণেতে অধিনায়ক হিসেবে ৫০ তম টেস্ট বিরাটের, টেস্ট ক্রিকেটে ফুটবলের নিয়ম চান ভারত অধিনায়ক