ভারতীয় ফুটবলে যুগের অবসান, প্রয়াত কিংবদন্তী পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়

  • প্রয়াত কিংবদন্তী ফুটবল কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়
  • দেড় মাসের বেশি সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি
  • সম্প্রতি মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয় পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের
  • কিংবদন্তী কোচের প্রয়াণে শোকের ছায়া ক্রীড়া জগতে

ভারতীয় ফুটবলে এক যুগের অবসান। প্রয়াত হলেন কিংবদন্তী প্লেয়ার তথা ফুটবল কোচ পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার দুপুর ২টো ৮ মিনিট নাগাদ বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তাঁর প্রয়াণে মদান হারাল তাদের প্রিয় ভোকাল টনিক কোচকে। গত বেশ কয়েক বছর ধরেই নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। চলাফেরার ক্ষমতাও হারিয়েছিলেন তিনি। শেষ বয়সে হুইল চেয়ারই ছিল একমাত্র সঙ্গী একসময়কার ময়দান কাঁপানো ফুটবলারের। এর আগেও একাধিকবার অসুস্থ হলেও বাড়ি ফিরেছিলেন পিকে। কিন্তু এবার আর তা হল না। 

আরও পড়ুনঃ টোকিও অলিম্পিক পিছিয়ে দেওয়া হোক, দাবি গোপীচাঁদের

Latest Videos

ফেব্রুয়ারি মাসের ৭ তারিখ শ্বাসকষ্ট নিয়ে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি  হাসপাতালে ভর্তি হন এই কিংবদন্তী ফুটবল কোচ। পারকিনসন ডিজিজ, ডিমেনশিয়া,নিউমোনিয়া এবং হৃদযন্ত্রের সমস্যা ছিল তাঁর। ভেন্টিলেশনে রাখা হয় তাকে। মাঝখানে অবস্থার খানিক উন্নতি হয় পিকে-র। তাই কিছু সময়ের জন্য ভেন্টিলেশনের বাইরে আনা হলেও পরে ফের তাঁকে ভেন্টিলেশনে দেওয়া হয়। তৈরি করা হয় মেডিক্যাল বোর্ড। চিকিৎসায় সাড়া দিলেও পিকে অবস্থা কখনই সঙ্কটমুক্ত বলে ঘোষণা করেননি চিকিৎসকরা। মেডিক্যাল বোর্ড সমানে তাঁর শারীরিক অবস্থার উপরে নজর রেখে গিয়েছে। কিন্তু শ্বাসকষ্টের সমস্যা ক্রমশই বাড়তে থাকে পিকের। সংক্রমণও ক্রমশ বাড়তে থাকে। গত সোমবার রাত থেকে চিকিৎসায় সাড়া দেওয়া বন্ধ করে দেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়।  তারপরই মাল্টি অর্গান ফেলিওর হয় তার। অতিসঙ্কটজনক ছিলেন তিনি। মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা হল না। ৮৩ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন হলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুনঃকোয়ারেন্টাইনে থেকে অভিনব পদ্ধতিতে শরীর চর্চা ইংল্যান্ড পেস বোলারের, দেখুন কীর্তি

আরও পড়ুনঃঅস্ট্রেলিয়ায় করোনা মোকাবিলায় পাশে শেন ওয়ার্ন,হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করবে ওয়ার্নের জিন কোম্পানি

১৯৩৬ সালের ২৩ জুন জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। ছোট থেকেই ফুটবল ছিল তার ধ্যান,মাত্র ১৫ বছর বয়সেই বিহারের সন্তোষ ট্রফি খেলেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। ভারতের হয়ে তিনটি এসিয়াড গেনমসে প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। ১৯৬২ সালে এশিয়াডে ভারতের সোনা জয়ের অন্যতম কারিগর ছিলেন পিকে। ১৯৫৬ সালে প্রথম বার মেলবোর্নে অলিম্পিক খেলেন। ১৯৬০ সালের রোম অলিম্পিকে তিনিই ছিলেন ভারতীয় টিমের ক্যাপ্টেন।কলকাতা ফুটবলে দাপিয়ে খেললেও কখনও মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গল কিংবা মহামেডানে খেলেননি প্রবাদপ্রতীম ফুটবলার। ১৯৫৪ সালে এক মরশুম এরিয়ানে খেলার পর ১৯৫৫ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত পিকের ক্লাব বলতে গোটা ময়দান জানত ইস্টার্ন রেলকে। ১৯৫৮ সালে তাঁর নেতৃত্বেই কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ জিতেছিল ইস্টার্নে রেল। দেশের জার্সি গায়ে ৪৫টি ম্যাচে ১৪টি গোল করেছেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুন, পদ্মশ্রী ও ফিফার শতাব্দীর সেরা ফুটবলারের সম্মানে সম্মানিত হয়ছেন পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ক্রীড়া জগত।

 

 

Share this article
click me!

Latest Videos

এবার ট্যাব কেলেঙ্কারির শিকার হলো গঙ্গাসাগরের স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা! চাঞ্চল্য ছড়ালো গোটা এলাকায়
'সময় এসেছে হিন্দুদের ক্ষমতা দেখানোর' ইউনূস ও মমতাকে একযোগে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
চরম উত্তেজনা মাদারিহাটে, বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারের গাড়িতে হামলা তৃণমূল সমর্থকদের
Live: সাংবাদিক সম্মেলনে শমীক ভট্টাচার্য ও শিশির বাজোরিয়া, কী বলছেন, দেখুন সরাসরি
সাতসকালে এ কী ভয়ানক দৃশ্য! আতঙ্কে কেঁপে উঠলো ১২ নম্বর ওয়ার্ড! দেখুন