হ্যান্ড স্যানিটাইজার নয়, সাবানই করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র, কেন জানেন

করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে মিলছে না হ্যান্ড স্যানিটাইজার

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার কিন্তু করোনা প্রতিরোধের সর্বোত্তম উপায় নয়

বরং সাবান জল দিয়ে হাত ধোয়াই প্রধান ও কার্যকরী অস্ত্র

কেন সাবান-কেই প্রধান অস্ত্র বলা হচ্ছে

 

করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবের প্রেক্ষিতে ভারতে এই মুহূর্তে হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্কের ব্যাপক সঙ্কট দেখা দিয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী জোগান নেই। এই অবস্থায় সংক্রমণ বিশেষজ্ঞরা বলেছেন যে সংক্রমণের বিস্তার এড়ানোর সবচেয়ে ভাল উপায় কিন্তু হ্যান্ড স্যানিটাইজার নয়, অতি সহজলোভ্য সাবান। সাবান জল দিয়ে ভালো করে হাত ধোয়াই করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী উপায়। দেখে নেওয়া যাক স্রেফ সাবান-ই কীভাবে কোভিড-১৯ মহামারী বিরুদ্ধে কার্যকরী প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারে।

আরও পড়ুন - করোনা নিয়ে উদ্বেগে ইসলামিক স্টেট-ও, জঙ্গিদের জন্য জারি বিশেষ স্বাস্থ্যবিধি

Latest Videos

করোনভাইরাস কীভাবে ছড়ায়?

প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ছড়ায় এই ভাইরাস। বস্তুত যে কোনও ধরণের ভাইরাসই যতক্ষণ না পর্যন্ত কোনও জীবন্ত কোষে আক্রমণ না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তা নিষ্ক্রিয় থাকে। কেউ হাঁচলে বা কাশলে ভাইরাস বহনকারী ছোট ছোট লালার ফোঁটাগুলি ২ মিটার পর্যন্ত দূরত্বে উড়তে যেতে পারে। এই ফোঁটাগুলি কোনও তলের উপর পড়ে যদি দ্রুত শুকিয়েও যায়, তাহলেও কিন্তু ভাইরাসের সংক্রমণের আশঙ্কা থেকে যায়। কারণ ওই অবস্থায় দীর্ঘ সময় ধরে ভাইরাস জীবিত থাকতে পারে। অন্য কোনও ব্যক্তি ওই পৃষ্ঠকে স্পর্শ করলে ভাইরাসটি তার হাতের ত্বকে আটকে যায়। এরপর ওই ব্যক্তি তার চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করলে তা সংক্রামিত হতে পারে।

আরও পড়ুন - বাতিল সেক্স পার্টি থেকে চুমুহীন মিলন - করোনাভাইরাস থাবায় কাতর যৌনজীবন

করোনাভাইরাস এর গঠন

যে কোনও করোনাভাইরাস-এর মতোই করোনাভাইরাসের গঠন-ও বেশ জটিল। সহজ করে বললে প্রধানত তিনটি উপাদানে গঠিত নভেল করোনাভাইরাস। সবচেয়ে বাইরের অংশে যে গ্লাইকোপ্রোটিনের কাঁটা থাকে সেগুলি ভাইরাসটিকে জীবন্ত কোষে আটকে গিয়ে সংক্রামিত হতে সাহায্য় করে। দ্বিতীয় উপাদানটি হ'ল রিবোনিউক্লিক অ্যাসিড বা আরএনএ। ভাইরাসটি যখন কোনও জীবন্ত কোষের ভিতরে থাকে, তখন প্রতিলিপি তৈরির মাধ্যমে ভাইরাসটির বংশ হিস্তারে সাহায্য করে। আর তৃতীয় উপাদানটি হ'ল একটি লিপিড স্তর বা ফ্যাটি এনভেলপ, এটি ভাইরাসের অন্যান্য অংশ-কে ধারণ করে। এটিই হল ভাইরাসটির সবচেয়ে বড় দুর্বলতা। কারণ এই স্তরটি ভাঙ্গতে পারলে পুরো ভাইরাসটিকেই খতম করা যায়।

আরও পড়ুন - মাত্র ২ টাকায় ফেস মাস্ক, করোনাতঙ্কের বাজারে এই দোকান যেন দৈত্যকূলে প্রহ্লাদ

আরও পড়ুন - মহামারীর জেরে বাড়িতে বসে কাজ করেছিলেন নিউটন-ও, আবিষ্কার হয়েছিল মহাকর্ষ সূত্র

করোনাভাইরাস-এর প্রতিরোধে সাবান কীভাবে কাজ করে?

সকলেই জানে তেলে জলে মিশ খায় না। তাই তেল বা গ্রিজ-এর মতো চর্বিযুক্ত কণা জলে ধুয়ে পরিষ্কার করা যায় না। এখানেই সাবানের রসায়ন কার্যকরী ভূমিকা নেয়। সাবান তৈরি হয় হাইড্রোজেন, অক্সিজেন এবং কার্বন পরমাণুর লম্বা চেইন দিয়ে। এই প্রতিটি হাইড্রোকার্বন চেইনের এক প্রান্তে একটি সোডিয়াম বা পটাসিয়াম পরমাণু থাকে। সাবান অণুর হাইড্রোকার্বন প্রান্তটিকে জল প্রতিরোধ করে। কিন্তু সাবানের সঙ্গে জল একসাথে ব্যবহার করলে সাবান অণুর ওই প্রান্তটি তেল বা চর্বিযুক্ত কণায় আটকে যায়। ছোট ছোট তেলের কণার চারপাশে গোলাকার সমষ্টীতে নিজেদের সাজিয়ে তোলে সাবানের কনাগুলি। ফলে এরপর জল দিয়ে সহজেই করোনভাইরাসটির দুর্বলতম অংশ বা লিপিড স্তরটি ভেঙে পড়ে যায়।

আরও পড়ুন - ভাইরাসের ভয়ের মধ্যেই বিকোচ্ছে কেজি প্রতি ২০০০ টাকায়, খাবেন নাকি 'করোনা' মাছ

কেন হ্যান্ড সানিটাইজার-এর থেকে সাবান বেশি কার্যকর

হ্য়ান্ড স্যানিটাইজারের প্রাথমিক উপাদান হল অ্যালকোহল। এটিও করোনভাইরাস-এর লিপিড স্তরটি ভেঙে ফেলতে পারে। তবে সাবানের মতো ভাইরাস-এর সঙ্গে অ্যালকোহলের দ্রুত বন্ধন গঠন হয় না। তাই বিশেষজ্ঞদের দাবি, হ্যান্ড স্যানিটাইজারের থেকে সাবান ভাইরাস প্রতিরোধে বেশি কার্যকরী। জল এবং সাবান ব্যবহারের সুযোগ না থাকলে তখন হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাবানের ভালো বিকল্প হতে পারে। কিন্তু, তারপরেও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের থেকে সাবানই ভাইরাস মোকাবিলায় বেশি শক্তিশালী।

 

Share this article
click me!

Latest Videos

'একত্রিত হতে হবেই, ওরা ৫০ পেরলেই শরিয়া আইন চালু করবে' গর্জে উঠলেন শুভেন্দু | Suvendu Adhikari | News
'Mamata Banerjee-র জন্যই অভয়ার এই অবস্থা' বলতে গিয়ে এ কী বললেন Suvendu Adhikari, দেখুন
শুভেন্দুর বিরাট ঘোষণা! সোনাচূড়ার আড়াই বিঘা জমিতে হবে বিশাল Ram Mandir | Suvendu Adhikari
'সনাতনী সম্মেলন'-এ Suvendu Adhikari-র বিশেষ বার্তা, দেখুন সরাসরি
‘RG Kar-র তথ্য প্রমাণ Mamata Banerjee-র নির্দেশে লোপাট হয়েছে’ বিস্ফোরক Adhir Ranjan Chowdhury