রাজ্য জুড়ে লকডাউনের সময় রেশন ব্যবস্থা নিয়ে দুর্নীতি হচ্ছে বলে লাগাতার অভিযোগ আসছিল। প্রথম থেকেই অভিযোগ করছে বিরোধী দলগুলি। বিশেষ করে বিজেপি বারবার অভিযোগ করে যে বহু জায়গায়, রেশন দোকানের পরিবর্তে তৃণমূলের স্থানীয় কার্যালয় থেকে রেশনের চাল-গম বিলি হচ্ছে।নিরন্তর অভিযোগ ওঠায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এবার রাজ্যে রেশন দুর্নীতিকে রাশ টানতে কড়া পদক্ষেপ নিল নবান্ন। রেশনে কালোবাজারি করা বা সামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগে ১০ জন রেশন ডিলারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শো-কজ করা হয়েছে তিনশোরও বেশি জনকে।
সূত্রের খবর, রেশন নিয়ে বিরোধীদের পাশাপাশি রাজ্যপালও সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন৷ তাই রেশন দুর্নীতি রুখতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার৷ রেশনে কালোবাজারি করা বা সামগ্রী কম দেওয়ার অভিযোগে ১০ জন রেশন ডিলারকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ এছাড়া খাদ্য দফতর ৬৪ জনকে সাসপেন্ড করেছে৷ এবং শো-কজ করা হয়েছে ৩৫৯ জনকে৷ জরিমানা করা হয়েছে ২৫ জন রেশন ডিলারকে৷এদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শো-কজের ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণায়। এরপর দক্ষিণ ২৪ পরগণা, নদীয়া ও মুশিদাবাদে। সবচেয়ে বেশি সাসপেন্ড হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর ও নদীয়া জেলায়৷ আর জরিমানা বেশি হয়েছে আলিপুরদুয়ারে৷
আরও পড়ুন, স্টেট ব্য়াঙ্ক কলকাতার সদর দফতরের সমৃদ্ধি ভবনে আতঙ্ক, করোনা আক্রান্ত মুখ্য় আধিকারিক
অপরদিকে, যেসব জায়গায় রেশন দেওয়া নিয়ে ঝামেলা চলছে, সেসব জায়গায় এখন রেশন দেওয়া হবে না বলেই জানানো হয়েছে। খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রেশনে দোকানের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে। রাজ্যের দাবি, এপ্রিল থেকে জুন অবধি তিন মাসের জন্য ৯ লাখ মেট্রিক টন এর পরিবর্তে মাত্র ৩ লাখ মেট্রিক টন চাল পেয়েছে রাজ্য। উল্লেখ্য়, রাজ্যে জাতীয় খাদ্য সুরক্ষার আওতাধীন বেনিফিশিয়ারির সংখ্যা ৬ কোটি ১ লক্ষ। কেন্দ্র ও রাজ্য মিলিয়ে মোট ১০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু পরিমান মত চাল ডাল না পাওয়ায় রেশন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হচ্ছে বলেই অভিযোগ করেছে রাজ্য।
আরও পড়ুন, কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস, দুর্যোগ চলবে আগামী আরও ৪৮ ঘণ্টা
রাজ্য়ে করোনা আক্রান্তের অর্ধেকের বেশি কলকাতার,৭০০ থেকে একদিনে ৭৫৪
করোনার থাবায় বন্ধ বাঘাযতীনের এক নার্সিংহোম, স্যানিটাইজেশনে বাঘাযতীন হাসপাতাল
শুধু কলকাতাতেই করোনা আক্রান্ত ৭০০, মহানগরকে ঘিরে ঘুম ছুটছে রাজ্য়বাসীর
করোনা উপসর্গ সহ মিজোরামের বাসিন্দার মৃত্য়ু হল কলকাতায়, ক্যানসারের জন্য় তিনি ছিলেন চিকিৎসাধীন
রাজ্যে করোনায় মৃত্যুর হারে দেশের শীর্ষে পশ্চিমবঙ্গ, বলছে কেন্দ্রের টিম
রোগী ফেলে পালাতে পারল না অ্যাম্বুল্যান্স, পিপিই পরা স্বাস্থ্য়কর্মীদেরকে তীব্র প্রতিবাদ নাকতলাবাসীর