কলকাতা বিমানবন্দরের পুরনো অন্তর্দেশীয় টার্মিনালকে কোয়রান্টিন কেন্দ্র করার ব্যবস্থা করেছিল রাজ্য সরকার। কোয়রান্টিন কেন্দ্র করেছিল রাজ্য সরকার। বিদেশ থেকে বিমানযাত্রীদের কথা ভেবেই তৈরি হয়েছিল ওই কেন্দ্র। ঠিক ৯ দিন পর তুলে নেওয়া হল সেটি, এদিকে খরচ লক্ষাধিক টাকা।
আরও পড়ুন, জুলাইয়ে স্কুল না খুললেও পরীক্ষা হবে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী
সূত্রের খবর, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার তাদের নিয়মাবলীতে পরিবর্তন এনেছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের প্রথম সাত দিন নিজেদের খরচে কোনও হোটেলে থাকতে হচ্ছে। তার পরে দেহে সংক্রমণের আভাস না-মিললে আরও সাত দিন তাঁদের বলা হচ্ছে গৃহ-পর্যবেক্ষণে থাকতে। এমনকি, বিমানবন্দরে নামার পরে পরিস্থিতি বুঝে অনেককে সরাসরি গৃহ-পর্যবেক্ষণেও পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার দরুণ রাজ্যের ওই কোয়রান্টিন কেন্দ্রের আর প্রয়োজন হচ্ছে না।
আরও পড়ুন, ২ থেকে ৩ ঘন্টার মধ্য়েই ঝাপিয়ে নামবে বৃষ্টি কলকাতা সহ রাজ্য়ে, ওদিকে দোরগোড়ায় বর্ষাও
মে মাসের শেষে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে ওই জায়গাটি চেয়েছিল রাজ্য সরকার। এটি বর্তমান টার্মিনাল লাগোয়া পুরনো অন্তর্দেশীয় টার্মিনাল। বিশাল ওই হলঘরে কোয়রান্টিন কেন্দ্র চালাতে গেলে এসি-র জন্য কর্তৃপক্ষের তরফে আলাদা মিটারও বসানো হয়। একসঙ্গে ৪০০ লোক থাকবেন ধরে নিয়ে ওই কোয়রান্টিন কেন্দ্রে ৪০০টি নতুন শয্যা ও বালিশের ব্যবস্থা এবং শৌচাগারে স্নানের ব্যবস্থা রাখা হয়। ২৪ ঘণ্টা সেখানে যাতে চিকিৎসক থাকতে পারেন, সে জন্য টার্মিনালের একটি পরিত্যক্ত দোকানঘরকে চিকিৎসকদের ঘরে পরিবর্তন করা হয়। এ ছাড়াও ওই কোয়রান্টিন কেন্দ্রে যে কর্মীরা থাকতেন, তাঁদের খাওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। ঠিক হয়েছিল, কেষ্টপুরের কাছে কোনও একটি জায়গা থেকে নিয়মিত বিমানবন্দরে সেই খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে। তার জন্য কেনা হয়ে গিয়েছিল লক্ষাধিক টাকার ফুড প্যাকেট। আশঙ্কা সেসবও এখন ক্ষতির খাতায়।
করোনায় সুরক্ষাবিধি নিয়ে বিক্ষোভের জের, বদলি ১৩ পুলিশকর্মীর
করোনা আক্রান্ত নিজাম প্যালেসের এক সিবিআই আধিকারিক, স্যানিটাইজ করা হল পুরো অফিস
করোনা আবহে সুরজিৎ কর পুরকায়স্থের প্রাক্তন স্ত্রী-শাশুড়ির দেহ উদ্ধার, তদন্তে পুলিশ
পিটিএসে নতুন করে আক্রান্ত আরও ৮, করোনা মুক্ত হয়ে কাজে ফিরলেন ১০০ পুলিশ কর্মী