শহরে করোনায় মৃত এক তরুণ চিকিৎসক৷ নীতিশ কুমার নামের ওই চিকিৎসকের বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৬ বছর৷ রেখে গেলেন স্ত্রী ও ২ বছরের ছেলেকে৷ জানা গিয়েছে, তিনি শহরের একটি নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালের কার্ডিওভাস্কুলার সায়েন্স বিভাগের চিকিৎসক ছিলেন৷ এর আগে অসংখ্য চিকিৎসকের করোনার জেরে মৃত্যু হয়েছে, তবে চিকিৎসক নীতীশ কুমারই তাঁদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।
আরও পড়ুন, টানা বৃষ্টিতে পারদ নেমেছে কলকাতায়, নিম্নচাপের জেরে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত পঁচিশ দিন ধরে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন প্রয়াত চিকিৎসক। সূত্রের খবর, গত কয়েক দিন ধরে দ্রুত তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। ভেন্টিলেশন সাপোর্টে তাঁকে রাখা হয়। জুলাইয়ের শেষে আক্রান্ত চিকিৎসকের ফুসফুস কাজ করা প্রায় বন্ধ করে দেয়। কৃত্রিমভাবে ফুসফুসকে কাজ করানোর জন্য এক্সট্রাকর্পোরিয়াল মেমব্রেন অক্সিজেনেশন বা ইকমো মেশিনের সাপোর্টও দেওয়া হয় তাঁকে। করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন এমন করোনা জয়ীরও প্লাজমাও দেওয়া হয়েছিল নীতীশকে। দেওয়া হয়েছিল প্লেটলেট। তবুও শেষরক্ষা হল না। সপাতাল সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
ইতিমধ্য়েই ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরাম প্রয়াত চিকিৎসককে করোনা শহিদ সম্মান জানানোর দাবি রেখেছে। লিখিত চিঠি পাঠিয়ে আবেদন জানিয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিবের কাছে। উল্লেখ্য, এর আগেও কলকাতায় করোনায় একাধিক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে৷ কিছুদিন আগে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়৷ তারও আগে করোনা আক্রান্ত হয়ে এ রাজ্যের দুই নামী চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিল৷ জানা গিয়েছে, মৃত চিকিৎসকের নাম তরুনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর৷ তিনি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ হিসেবে একজন প্রতিষ্ঠিত চিকিৎসক ছিলেন৷
ভুয়ো টেস্টের ফাঁদে পড়ে করোনায় মৃত্যু এক ব্য়াক্তির, গ্রেফতার প্রতারণা চক্রের ৩ জন
করোনায় ফের ১ এসবিআই কর্মীর মৃত্য়ু, মৃতের পরিবারকে চাকরি দেওযার দাবিতে ব্যাঙ্ক কর্মীরা
পূর্ব ভারতের প্রথম সরকারি প্লাজমা ব্যাঙ্ক-কলকাতা মেডিকেল, করোনা রুখতে প্রস্তুতি তুঙ্গে
মৃত্যুর পর ২ দিন বাড়ির ফ্রিজে করোনা দেহ, অভিযোগ 'সাহায্য মেলেনি স্বাস্থ্য দফতর-পুরসভার'
অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকলের পরও কোভিড জয়ী ৫৪-র দুধ ব্যবসায়ী, শহরকে দিলেন এক সমুদ্র আত্মবিশ্বাস
কোভিড রোগী ফেরালেই লাইসেন্স বাতিল, হাসপাতালগুলিকে হুঁশিয়ারি রাজ্য়ের