সংক্ষিপ্ত
- শুক্রবারই বিশ্বকাপে শেষ ম্যাচ খেলছে পাকিস্তান
- ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন শেষ হচ্ছে শোয়েব মালিকের
- চলতি বিশ্বকাপটা তাঁর দুঃস্বপ্নের মতো গিয়েছে
- তাঁকে বিদায়ী নৈশভোজ দেওয়া যেতে পারে, বিদায়ী ম্যাচ নয় বলে জানিয়েছেন ওয়াসিম আক্রম
নয়ের দশকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন এমন দুই ক্রিকেটার এইবারের বিশ্বকাপে খেলেছেন। বৃহস্পতিবার তাদের একজন ক্রিস গেইল বিদায় নিয়েছিলেন। শুক্রবার বিদায় নিচ্ছেন আরেকজন, পাকিস্তানের অলরাউন্ডার তথা ভারতের জামাই শোয়েব মালিক। বিশ্বকাপটা গেইলের 'ইউনিভার্স বস'-সুলভ না গেলেও তিনি মোচের উপর তিনি খারাপ খেলেছেন এই কথা বলা যাবে না। কিন্তু শোয়েব মালিকের জন্য চলতি বিশ্বকাপটা প্রায় দুঃস্বপ্নের মতো গিয়েছে।
৩টি ম্য়াচ খেলে তিনি মাত্র ৮ রান করেছেন। তারমধ্যে অস্ট্রেলিয়া ও ভারতের বিরুদ্ধে পর পর দুটি শূন্য করে প্রথম একাদশ থেকে বাদ পড়ে যান তিনি। কম সমালোচনা সহ্য করতে হয়নি তাঁকে। এরসঙ্গে যুক্ত হয়েছিল স্ত্রী সানিয়া মির্জা ও কয়েকজন সতীর্থকে নিয়ে ভারত ম্যাচের আগেই একটি হুকা বারে যাওয়া নিয়ে বিতর্ক।
আরও পড়ুন - মহারণের আগের রাতে পাক ক্রিকেটারদের মজলিশ! সঙ্গে ভারতীয় মহিলা, ভাইরাল ভিডিও
ফিরে দেখা বিশ্বকাপ - ভারত-পাক ম্যাচের তিন অবিস্মরণীয় মুহূর্ত
দুর্বার গতিতে এগোচ্ছেন বাবর, রেকর্ড বলছে রান করছেন 'আদর্শ' কোহলির থেকেও দ্রুত
শুক্রবার পাকিস্তান বিশ্বকাপে তাদের শেষ ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচেও প্রথম দলে জায়গা হয়নি তাঁর। এদিকে তিনি আগেই ঘোষণা করে রেখেছেন বিশ্বকাপের পরই তিনি অবসর নেবেন। ফলে দীর্ঘদিন ধরে পাক ক্রিকেটকে সেবা করে আশা মালিককে মাথা নিচু করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে যেতে হবে। একটা বিদায়ী ম্যাচ কি তাঁর প্রাপ্য ছিল না?
আরেক পাক কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রম কিন্তু মনে করছেন, শোয়েব মালিকের বিদায়টা আরও বর্ণময় অবশ্যই হওয়া উচিত। তবে বিদায়ী ম্য়াচ নয়, তাঁকে বিদায়ী নৈষভোজ দেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন আক্রম।
কারণ আক্রম বলেছেন, 'শোয়েব খুবই ভাল মানুষ। বিশ্বকাপে তিনি ভাল খেলতে না পারলেও বছরের পর বছর ধরে তিনি পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন। তাই তাঁকে অবশ্যই বিদায় সংবর্ধনা দিতে হবে। তবে এটা তো ক্লাব ক্রিকেট নয়, যে কাউকে একটা ম্যাচ কেলিয়া বিদায় দেওয়া যাবে। তার থেকে ওর জন্য আমরা একটা বিদায়ী নৈশভোজের আসর আয়োজন করতে পারি।'
পাকিস্তানের হয়ে শোয়েব মালিক ৩৫টি টেস্ট, ২৮৭টি একদিনের ম্যাচ ও ১১১টি টি২০ খেলেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর ১১০০০-এর উপর রান ও ২০০টির উপর উইকেট রয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে খেলা হলে বিশেষ করে তাঁকে জ্বলে উঠতে দেখা যেত। ওডিআই-তে ৯টি শতরানের মধ্যে ৪টিই করেছেন ভারতের বিরুদ্ধে। সর্বোচ্চ রান ১৪৩ -ও করেছিলেন ভারতের বিরুদ্ধেই।