বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের সংসদীয় কমিটির নেতাদের বৈঠক হয়েছিল সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীর বাড়িতে। দলীয় সূত্রের খবর কংগ্রেস নেতারা এখনও কেন্দ্রে নিজেদেরকেই প্রধান বিরোধী দল হিসেবে দাবি করে এসেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের নৈনিতালের বাড়িতে আগুনের ছবি শেয়ার করে তিনি লিখেছেন তিনি তাঁর বন্ধুদের জন্যই দরজাগুলি খোলার আশা করেছিলেন। কিন্তু তারা এজাতীয় ঘটনা ঘটিয়ে গেছে। তিনি আবারও বলেছেন এটি কখনই হিন্দুত্ব হতে পারে না।
শচীন পাইলটের সমর্থকদের মন্ত্রিসভায় ফিরিয়ে আনাকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী রাজস্থানের শান্তির ফরমুলার অংশ হিসেবেই দেখছেন। শচীন পাইলট ও তাঁর অনুগামীরা এক মাস ধরে টানা বিদ্রোহ করেছিল।
পুরভোট ও লোকসভা নির্বাচনের আগে সীমান্ত জেলাকে নিজেদের দখলে আনতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী থেকে শুরু করে বিজেপি ও সিপিএমকে একযোগে তুলনা করলেন রাজ্য নগর উন্নয়ন ও পুর দপ্তরের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
সনিয়া গান্ধীকে লেখা চিঠিতে সিধু রাজ্যের একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য সময় চেয়েছেন। পাশাপাশি চিঠিতে সিধু জিজ্ঞাসা করেছেন দল না রাজ্য সরকার কে শেষপর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করবে।
গত সপ্তাহেই আচমকা পঞ্জব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন নভজ্যোৎ সিং সিধু। তার বেশ কয়েক জন অনুগামীও তারই রাস্তায় হেঁটে পঞ্জাবের নতুন সরকারকে সংকটে ফেলে দিয়েছিলেন।
প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ও সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে বৈঠকও করেছেন। তারপর থেকেই কংগ্রেসের অন্দরে গুঞ্জন প্রশান্ত কিশোরকে কংগ্রেস সদস্য হিসেবেই চাইছেন রাহুল প্রিয়াঙ্কা।
এদিন ক্যাপ্টেন সিধুর পদত্যাগ নিয়েও মুখ খুলেছেন। তিনি বলেছেন সিধু কখনই একজন স্থিতিশীল মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি। একই সঙ্গে অমরিন্দর বলছেন সীমান্তবর্তী রাজ্য পঞ্জাবের জন্য কখনই তিনি সঠিক ব্যক্তিত্ব নন।
কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে কানহাইয়া কুমার এদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতার লড়াইয়ের প্রতীক। ছাত্র নেতা হিসেবেই মৌলবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তিনি। দীর্ঘ দিন ধরেই কানহাইয়া কুমার সিপিআই-এর সদস্য ছিলেন।
সনিয়া গান্ধীকে চিঠি লিখে অনেকটা অমরিন্দর সিং-এক কায়দায় কংগ্রেসের প্রধানের দায়িত্ব ছাড়লেন নভজ্যোৎ সিং সিধু।