Anubrata mandal News -

'ওড়িশায় শ্রীঘর সাফ হচ্ছে, ওখানেই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে লুডো খেলবেন অনুব্রত', আসানসোল লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে এসে বগটুইকাণ্ডে বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল।

বীরভূম রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ডে উড়ে গেল অনুব্রতর শর্ট সার্কিট তত্ত্ব। সিবিআই-এর এফআইআর-এ উঠে এল অন্য কথা।

রামপুরহাটকাণ্ডে ইতিমধ্যেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, সিবিআই তদন্তে চাপ বাড়ল কেষ্ট-বিষ্টুদের।

সিবিআইয়ের দাবি, এর আগে দু'বার শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। তাই চতুর্থবার তাঁকে নোটিস পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এই নোটিসের পর হাজিরা না দিলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর।

আজ তাঁর পরনে ছিল আকাশি শার্ট, ফরমাল ট্রাউজার, বাঁ হাতে হলুদ রঙের শীত পোশাক। আর করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে মাস্ক পরেছিলেন তিনি। তাঁর শরীরী ভাষায় কোনও ভয় বা চিন্তার ছাপ একেবারেই ছিল না।

এর আগে গরু পাচারকাণ্ডে যখন অনুব্রতকে সিবিআই নোটিস পাঠিয়েছিল, তখনও রাজ্যে ভোট ছিল। গত বছর এপ্রিলে বিধানসভা ভোট ছিল বাংলায়। ২৯ এপ্রিল ছিল বীরভূমে ভোট। এদিকে ২৭ এপ্রিলের মধ্যে অনুব্রতকে সিবিআই হাজির হতে বলেছিল।

গরুপাচার মামলায়বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে নোটিশ পাঠাল সিবিআই। তাঁকে ১৪ ফেব্রুয়ারি তলব করা হয়েছে। সম্প্রতি ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় অনুব্রতকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

বুধবার অনুব্রত মন্ডল বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন নিজের কেউ যদি প্রার্থী দিতে না পারে তার জন্য কি তৃণমূল কংগ্রেস দায়ি। বিজেপি স্থানীয় কাউকে পাচ্ছে না প্রার্থী করার জন্য।

অনুব্রত বলেন, "আদালতকে আমি স্যালুট করব। সম্মান জানাব। আদালত যা রায় দেবে তা মাথা পেতে নেব। আদালত যেভাবে বলবে সেভাবে আমি সহযোগিতার হাতও বাড়িয়ে দেব। আইন আইনের পথে চলবে।"

অনুব্রতকে দু'বার তলব করেছে সিবিআই। কিন্তু, একবারও হাজিরা দেননি তিনি। বরং অসুস্থতার কথা জানিয়ে এড়িয়ে গিয়েছেন হাজিরা। তারপরই গতকাল রক্ষাকবচের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে আবেদন করেন তিনি।