রাজ্যে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম আঁতুড়ঘর বলা হয় সিঙ্গুরকে। বাম শাসনের পতন আর তৃণমূলে উত্থানের পিছনে সিঙ্গুর আন্দোলন অনেকটাই দায়ি বলে মনে করেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
সূত্রের খবর কেন্দ্রীয় সরকার কৃষক ইউনিয়নগুলিকে জানিয়েছেন এমএসপি বা নূন্যতম সহায়ক মূল্য ইস্যুতে একটি কমিটি গঠন করবে।
'কৃষক আন্দোলন করতে গিয়ে কত লোক মারা গেছে, সে বিষয়ে কেন্দ্রের কাছে পরিসংখ্যান পাঠায়নি এখনও কোনও রাজ্য সরকার', এমনটাই দাবি জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ।
আলোচনা করার জন্য পাঁচ কৃষক নেতার নামের তালিকা চেয়ে পাঠাল নরেন্দ্র মোদী সরকার। মঙ্গলবার কৃষি আইনের বিরুদ্ধে সরব হওয়া নেতাদের MSP এবং অন্যান্য দাবি নিয়ে আলোচনা করার জন্য একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব রেখেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার।
কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর বলেন, এমএসপি কমিটি গঠনের সঙ্গে সঙ্গেই এই বিষয় নিয়ে কৃষকদের দাবিগুলি পুরণ করা হয়েছে। এই কমিটিতে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধিরাও থাকবে।
তুলসিহাটা অঞ্চলের কামারতা গ্রামে একই কায়দায় জমিতে শিয়ালের দ্বারা আক্রান্ত হন কৃষক সকাল দাস (৪০)। তবে সকালের পাল্টা আক্রমণে ঘটনাস্থলে একটি শিয়ালের মৃত্যু হয়। সকালকেও চাঁচল সুপার স্পেশালিটি হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এদিনের কর্মসূচিতে রাজ্য সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার সমস্ত বিশিষ্ট নেতারাই উপস্থিত ছিলেন বলে দেখা যায়। জনসভায় বিভিন্ন কৃষক, খামার-শ্রমিক, শ্রমিক, ছাত্র, যুব ও গণতান্ত্রিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
২০২০ সালে ২৬ নভেম্বরই দিল্লির উপকণ্ঠে প্রথম এই কৃষক আন্দোলনের সূচনা হয়। যাতে যোগ দেয় পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ সহ একাধিক রাজ্যের লক্ষাধিক কৃষক।
মহাপঞ্চায়েতে ভাষণ দিতে গিয়ে রাকেশ টিকায়েত বলেন কৃষি আইন বাতিল হওয়ার পরেও অনেকগুলি সমস্যা রয়েছে। সেগুলির সমাধান প্রয়োজন।
আন্দোলনকারী কৃষকদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে একটি খোলা চিঠি লিখবে। সেখানে অমীমাংসিত দাবিগুলির উল্লেখ থাকবে।