দক্ষিণ কাশ্মীর (Kashmir) ও শ্রীনগরে (Srinagar) ভারতীয় সেনার (Indian Army) অভিযানে দুদিনে ৯ জন জইশ-ই-মহম্মদ (JeM) জঙ্গি নিহত হয়েছে। তাদের নির্মূল করতে গিয়ে শহিদ হলেন ল্যান্স নায়েক সতবীর সিং।
রবিবার ভোরে ভারতীয় সেনাবাহিনী (Indian Army) এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের (Jammu And Kashmir Police) যৌথ বাহিনীর গুলিতে খতম ইসলামিক স্টেট (Islamic State) জঙ্গি। পুলিশের এক এসআই হত্যার দায়ে অভিযুক্ত সে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের কুলগাম জেলায় টানা গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গি খতম হয়েছে বলে খবর। কুলগামে রেডওয়ানি এলাকায় এদিন সকালে এনকাউন্টার শুরু হয়।
জম্মু ও কাশ্মীরে (Jammu And Kashmir) পুঞ্চ সেক্টরে (Poonch Sector) নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে খতম হল কুখ্যাত পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদী আবু জারার (Abu Zarar)। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর উপর বড় মাপের হামলা চালানোর পাশাপাশি যুবকদের জঙ্গি দলে টানার দায়িত্ব ছিল তার উপর।
এক মাসের মধ্যে নয়া রেকর্ড তৈরি করল জম্মু কাশ্মীর পুলিশ, ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের যৌথ বাহিনী। জানা গিয়েছে কাশ্মীরি নাগরিকদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনায় যুক্ত সব জঙ্গিকেই খতম করতে সফল হয়েছে সেনার যৌথবাহিনী।
জম্মু ও কাশ্মীরের কুলগাম জেলার পম্বাই এবং গোপালপোরা গ্রামে শুরু হয় এনকাউন্টার। এই এনকাউন্টারে খতম হয়েছে পাঁচ জঙ্গি।
হায়দারপোরা এলাকায় কয়েকজন জঙ্গি লুকিয়ে থাকার খবর পেয়েছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর সোমবার, পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে ওই এলাকায় অভিযান চালায় তারা। তখনই নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা।
এই বছর জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে ১৩৮ জন জঙ্গি নিহত হয়েছে। এরই সঙ্গে সাধারণ নাগরিক হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে ৫৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কাশ্মীর জোন পুলিশ ও ভারতীয় সেনা যৌথ টিম তল্লাশি শুরু করে। বারামুল্লার চেরদরি এলাকায় শুরু হয় গুলির লড়াই।
ছয় জঙ্গি কাশ্মীর উপত্যকায় নাশকতা ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছিল বলে খবর। রাজৌরির ঘন জঙ্গলে সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে এনকাউন্টারে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।