নবান্নের একাধিক হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও আন্দোলনে অনড় সরকারি কর্মীরা। এই পরিস্থিতিতে সরকার ধর্মঘটে বাধা দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে বলেই জানিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের প্রধানের বক্তব্য হল, মুখ্যমন্ত্রী এই ১০৫% ডিএ দেওয়ার কথাটা রাজনৈতিক কারণে সাধারণ মানুষকে ভুল বোঝাবার উদ্দেশ্যে বাজারে ছেড়েছেন।
সোমবার সরাসরি আন্দোলন মঞ্চে গিয়ে হাজির হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও অগ্নিমিত্রা পাল। ডিএ আন্দোলনকারীদের এর আগেও নৈতিক সমর্থন জানিয়েছিল বিজেপি।
বিধাননগরে 'আশ্রয় প্রকল্পের' উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আসেন তিনি। সেখানেই ডিএ ইস্যু উত্থাপন হতেই মুখ খুললেন ফিরহাদ হাকিম।
৬ শতাংশ ডিএ-এর ঘোষণায় মোটেও খুশি নন সরকারি কর্মীরা। এর আগেও ডিএ-এর দাবিতে ২১ ও ২২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের দু'দিনের কর্মবিরোতি পালন করেছিলেন তাঁরা।
বকেয়া ডিএ-এর দাবিতে এবার ধর্মঘটের ডাক দিলেন তাঁরা। আগামী নয় মার্চ ধর্মঘট কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়েছে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের তরফে।
এই ২ দিন সব স্কুলের সমস্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের আসতেই হবে বলে স্পষ্ট আদেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে।
ডিএর দাবিতে আরও বড় আন্দোলনের পথে সরকারি কর্মীরা। আজ কালো ব্যাজ পরে কাজ সরকারি কর্মীদের।
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুরের একটি প্রশাসনিক সভায় এই নিয়ে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যের পাওনা টাকা দিচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।
শুক্রবার থেকেই ৪৮ ঘন্টার কর্মবিরোতির ডাক দিল রাজ্যের সরকারি কর্মচারিরা। পাশাপাশি শুক্রবার বিধানসভা অভিযানেরও ডাক দেওয়া হয়েছে।