ডিএ-র দাবিতে একযোগে বিধানসভা অভিযানে পথে নামে ২৭টি বাম সংগঠন। সেই সংগঠনের সদ্যদের ওপর চলল পুলিশের লাঠিচার্জ। বিধানসভা অভিযানের শুরুতেই ধর্মতলায় কার্যত ধুন্ধমার পরিস্থিতি দেখা গেল।
ডিএ নিয়ে মন্তব্য করলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি ডিএ দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করেও জনস্বার্থমূলক প্রকল্পের ওপর জোর দেন। আর বলে দেন সরকারের কাছে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল সরকারি প্রকল্প চালিয়ে যাওয়া।
মহার্ঘ ভাতা মেটানোর দাবিতে সব কর্মী সংগঠনকে একজোট হয়ে মঞ্চ তৈরির আহ্বান জানিয়েছে কর্মচারী পরিষদ নামে বিজেপি প্রভাবিত একটি কর্মী সংগঠন। যদিও সেই ডাকে সাড়া দিল না কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিইউসি অনুমোদিত ‘কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ়’।
অর্থ মন্ত্রকের মতে, তিন মাসের জন্য বিনামূল্যে রেশনের প্রকল্পটি এগিয়ে নিয়ে গেলে রাজকোষে ৪৫ হাজার কোটি টাকার বোঝা পড়বে। সরকারি সূত্র বলছে, কেন্দ্রীয় সরকার জমা করা খাদ্যশস্যের মজুদ পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ডিএ নিয়ে হাইকোর্টে রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার। রাজ্যের পুনর্বিবেচনার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই বহাল রেখেছেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও রবীন্দ্রনাথ সামন্ত। তবে এই রাজ্যে সরকার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে সূত্রের খবর। রায় নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শাসক ও বিরোধীরা।
ডিএ মামলায় আবারও রাজ্যের হার হাইকোর্টে। সূত্রের খবর এবার সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার চিন্তাভাবনা রাজ্য সরকারের। তেমনই প্রস্তুতি শুরু করেছে নবান্ন। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে ডিএ বা মহার্ঘ্য ভাতার দাবিতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের হারে ডিএ-র দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ মামলার রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বহাল রাখল আগের রায় অর্থাৎ সিঙ্গেল বেঞ্চের রায়ই। এই নিয়ে তৃতীয় বার ডিএ মামলার রায় পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছিল রাজ্য। রায় দিতে গিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ রাজ্যের আবেদনের কোনও যৌক্তিকতা নেই।
নির্দিষ্ট সময়ের আগে রিভিউ পিটিশন কেন? ঘিরে ক্ষোভ বাড়ছ সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে। অযথা মামলাকে দীর্ঘ করার জন্যই কি এই ধরনের পদক্ষেপ? উঠছে প্রশ্ন
বকেয়া মহার্ঘভাতা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য রাজ্যকে তিন মাসের সময় দিয়েছিল আদালত। গত মে মাসে এই নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ অনুসারে তিন মাসের সময়সীমা শেষ হয় গত ১৯ অগাস্ট। সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও বকেয়া ডিএ মেটায়নি রাজ্য সরকার। এমনকী ডিএ দেওয়ার প্রক্রিয়াই এখনও শুরু করেনি রাজ্য।
জুলাই মাসে মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে,করোনার পর প্রায় দেড় বছর কোনো রকম পরিবর্তন বা মুদ্রা স্ফীতি ঘটেনি।