প্রতিরক্ষা সূত্র জানিয়েছে, প্রি-ইন্ডাকশন ট্রায়ালের অংশ হিসেবে এই প্রলয় মিসাইলেরপরীক্ষাটি তার সমস্ত মিশনের উদ্দেশ্য সফলভাবে পুরণ করবে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রে বলা হয়েছে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ মিসাইলটি আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের একটি  মাটির কেন্দ্রীক লঞ্চার থেকে ছোঁড়া হয়েছিল। তখন ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি গাইডেড মিসাইল কর্ভেড থেকে উরান অ্যান্টি-শিপ মিসাইল উৎপেক্ষণ করা হয়েছিল। আন্দামান নিকোবর কমান্ড  বলেছে 'exNaval' জাহাজ বা ভারতের নৌবাহিনীর একটি পুরনো জাহাজকে এই পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার জায়েন্ট চিফস অব স্টাফ রিপোর্ট করেছেন এটি একক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বলেও মনে করা হচ্ছে। উত্তর কোরিয়ার জাগাং প্রদেশের পূর্ব উপকূলে সমুদ্রে রবিবার সকাল ৭টা ৫২ মিনিটে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়েছে বলেও মনে করছে দক্ষিণ কোরিয়া। এই খবর পাওয়ার পরই প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন-এর সভাপতিত্বের দক্ষিণ কোরিয়ার একটি জরুরি বৈঠকও করেছে। 

বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি সমস্ত মিশনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণ করেছে বলে জানান হয়েছে।

এস-২০০ মিসাইল সিস্টেমগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে মোতায়েন করার আগে রাশিয়ান কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে  সেটির গ্রহণযোগ্যতা পরীক্ষা করে দেখা হবে বলেও সূত্রের খবর। 

শনিবার বেলা ১১টা বেজে ৬ মিনিটে ওড়িশার বালাসোরে পরক্ষা করা হয়েছিল। এর আগে  চলতি বছর ২৮ জুন ক্ষেপণাস্ত্রটি শেষবারের মত পরীক্ষা করা হয়েছিল। তারপর এদিন ফের পরীক্ষা করে দেখা হয়। সূত্রের খবর ক্ষেপণাস্ত্রটি বিকাশের কাছাকাছি অবস্থায় রয়েছে। 

সফল বিস্ফোরণ হল দূরপাল্লার সুপারসনিক মিসাইল অ্যাসিস্টেড টর্পেডোর (SMART)। সোমবার ওডিশার বালাসোর উপকূলে এই পরীক্ষা করা হয়। 

ওড়িশার উপকূলে চাঁদিপুরের ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট রেঞ্জ থেকে ব্রহ্মোস সুপারসনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বায়ু সংস্করণের সফলভাবে পরীক্ষা করে ভারত। ডিআরডিও-র সূত্র জানিয়েছে ব্রহ্মোস একটি দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্ষেপণাস্ত্র।

রবিবার বিশাখাপত্তনম নামের এই মিসাইল ধ্বংসকারী নৌবাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। এটি অ্যান্টি-সাবমেরিন রকেটের সম্ভার দিয়ে সাজানো হয়েছে। 

এ-৪০০ ট্রায়ুম্ফ সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম শত্রুপক্ষের বিমান, দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম। সীমান্তে চিনা বাহিনীকে প্রতিহত করতে ভারতীয় বিমান বাহিনীকে এটি সাহায্য করবে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।