আসনশোল আদালতে টানা পাঁচ ঘণ্টারে জেরার পরে গ্রেফতার করা হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। কিন্তু তিনি এখনও নিজের অ্যারেস্ট ওয়ারেন্টে সই করেননি বলে ইডি সূত্রের খবর। আর সেই কারণে রীতিমত সমস্যায় তদন্তকারীরা।
অনুব্রত মণ্ডলের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ফিরহাদ হাকিম। তিনি বীরভূমে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডলকে বাঘের সঙ্গে তুলনা করেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য দলের নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রথম দিন আট ঘণ্টা, দ্বিতীয় দিন ছয় ঘণ্টা জেরা করা হলেও কেষ্ট-কন্যা কিছুতেই তদন্তে সহযোগিতা করছেন না দাবি করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ তুলেছিলেন, ডিয়ার লটারির সঙ্গে তৃণমূলের যোগ রয়েছে। এবার সেই প্রসঙ্গই প্রশাসনিক মহলে মাথা চাড়া দিল আরও একবার।
কয়েক দিন আগে সুকন্যার সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেমক ফুড প্রাইভেট লিমিটেডকে একটি নোটিশ ধরিয়েছে সিবিআই।আর সেই কারণেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুকন্যাকে ডেকে পাঠায়। কিন্তু সুকন্যা ভিন রাজ্যে থাকার কথা বলে হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছে।
এত দিন অনুব্রতের সম্পূর্ণ দেখভাল করত সায়গল হোসেন। প্রত্যেকদিন নিয়ম মতো ঘড়ির কাঁটা মেপে নেতাকে ওষুধ খাওয়ানো, নেবুলাইজ়ার দেওয়া, সব কিছুতে কড়া নজর থাকত সায়গলের।
বিশ্বজ্যোতিই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে জানিয়েছেন যে, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টটি তাঁর নামে নথিভুক্ত থাকলেও, সেটি নিয়ন্ত্রণ করতেন অনুব্রত মণ্ডল আর সায়গল হোসেন।
এর আগেও মোট ৩টি চার্জশিট পেশ করে কেষ্ট মণ্ডলের বিরুদ্ধে বহু নথি ও তথ্য দাখিল করেছে সিবিআই। ৫৭ দিনের মাথায় এসে শুক্রবারের এই চার্জশিট বীরভূমের বাদশাকে আরও বিপদে ফেলে দিল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
মহালয়ার সকালে একেবারেই ভিন্ন মেজাজে দেখা গেছে অনুব্রত মণ্ডলকে। প্রত্যেকদিন সাধারণত তাঁর ঘুম ভাঙে সকাল ৯ টায়। তবে মহালয়ার দিন নাকি ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই ঘুম থেকে উঠে পড়েছেন তিনি।
সুকন্যা মণ্ডলের প্রভূত সম্পত্তির উৎস কী? তা জানতে শুক্রবার অনুব্রতর মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই।