তিহার জেলে বন্দি রয়েছেন মণ্ডল। চরম কষ্টে দিন কাটছে। আজ আশার আলো দিল্লি হাইকোর্টে তাঁর জামিন মামলার শুনানি।
দিল্লি হাইকোর্টে উত্থাপিত জামিনের মামলা নিয়ে আগে থেকেই বেশ কিছুটা আশাবাদী রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী।
আপাতত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলতে যেতে হচ্ছে তিহার জেলে। দিল্লির আদালত ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে গরু পাচারকাণ্ডে।
শুক্রবার কালীঘাটের দলীয় বৈঠক থেকে প্রায় ৮ মাস পর ভিন্ন সুর শোনা গেল তৃণমূল সুপ্রিমোর গলায়।
অনুব্রত মণ্ডলকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পর বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিকে। এদিকে, ইডি দফতরে হাজিরাই দিতে চাইছেন না সুকন্যা মণ্ডল।
গরু পাচারের কোটি কোটি টাকা হাত ঘুরিয়ে সাদা করতেন অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর প্রধান মদতদাতা হিসেবে কাজ করতেন মণীশ কোঠারি, এমনই জানতে পেরেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
‘অনুব্রত মণ্ডল কার কাছ থেকে কত টাকা নিয়েছিলেন, সব জানেন মণীশ কোঠারি’, হিসাবরক্ষকের ৬ দিন ইডি হেফাজত। এবার মণীশের মুখোমুখি বসিয়েই অনুব্রত মণ্ডলকে কড়া জিজ্ঞাসাবাদ করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
আদালতে যাওয়ার আগে দিল্লির ইডি দফতর থেকে মাছ ভাত খেয়েই বেরোচ্ছেন অনুব্রত মণ্ডল। আদালতেও তাঁর জন্য অর্ডার করে আনানো হচ্ছে খাবার ও পানীয়।
প্রশ্ন করার আগে তিনি কেঁদেকেটে নিস্তার পেতে চান, এমনকি নিজের অপারগতার কথা অকপটে স্বীকারও করে নেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাতেই বিপদে পড়ে যান দুঁদে অফিসাররা।
তাবড় অফিসারদের প্রশ্নের মুখে পড়েই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়ে ফেললেন অনুব্রত মণ্ডল।